কম্পিউটার হার্ডওয়্যার
ভূমিকা
কম্পিউটার হার্ডওয়্যার বা কম্পিউটার যন্ত্রাংশসামগ্রী হল কম্পিউটারের সেইসব অংশ যেগুলো স্পর্শ করা যায় ও দেখা যায় যেমন মনিটর, মাউস, কেসিং, মাদারবোর্ড, রম, সিডি, ডিভিডি, ইত্যাদি। এই ডিভাইসগুলো একসঙ্গে কাজ করে একটি কম্পিউটার সিস্টেম গঠন করে। এই অধ্যায়ে আমরা হার্ডওয়্যারের বিভিন্ন অংশ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব।
ইনপুট ডিভাইস হল সেইসব ডিভাইস, যা ব্যবহারকারীর কাছ থেকে ডেটা বা নির্দেশনা সংগ্রহ করে এবং তা কম্পিউটারের প্রসেসিং ইউনিটে (CPU) প্রেরণ করে। এই ডিভাইসগুলো ব্যবহারকারীর সঙ্গে কম্পিউটারের যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে কাজ করে।
ইনপুট ডিভাইসের গুরুত্ব
ইনপুট ডিভাইস ছাড়া ব্যবহারকারী কম্পিউটারকে কোনো নির্দেশনা দিতে পারে না। এগুলো ব্যবহার করে কম্পিউটারে টেক্সট, ছবি, শব্দ, ভিডিও এবং অন্যান্য ডেটা প্রদান করা হয়।
বিভিন্ন ধরনের ইনপুট ডিভাইস এবং তাদের উদাহরণ
১. কিবোর্ড (Keyboard)
বর্ণনা: এটি একটি সাধারণ ইনপুট ডিভাইস, যা ব্যবহার করে ব্যবহারকারী অক্ষর, সংখ্যা এবং প্রতীক টাইপ করতে পারে।
২. মাউস (Mouse)
বর্ণনা: এটি একটি পয়েন্টিং ডিভাইস, যা ব্যবহার করে স্ক্রিনের কার্সর নিয়ন্ত্রণ করা হয়।
৩. স্ক্যানার (Scanner)
বর্ণনা: এটি ফিজিক্যাল ডকুমেন্ট বা ছবিকে ডিজিটাল ফরম্যাটে রূপান্তর করে।
৪. মাইক্রোফোন (Microphone)
বর্ণনা: এটি শব্দ বা অডিও ইনপুট দেওয়ার জন্য ব্যবহৃত হয়।
৫. ক্যামেরা (Camera)
বর্ণনা: এটি ফটো বা ভিডিও ইনপুট করার জন্য ব্যবহৃত হয়।
৬. জয়স্টিক (Joystick)
বর্ণনা: এটি একটি বিশেষ ধরনের ইনপুট ডিভাইস, যা মূলত গেম খেলার জন্য ব্যবহৃত হয়।
মনিটর (Monitor)
বর্ণনা: এটি কম্পিউটারের প্রধান ভিজ্যুয়াল আউটপুট ডিভাইস।
প্রিন্টার (Printer)
বর্ণনা: এটি কম্পিউটারের ডিজিটাল তথ্যকে কাগজে মুদ্রণ করে।
স্পিকার (Speaker)
বর্ণনা: এটি কম্পিউটারের অডিও আউটপুট সরবরাহ করে।
হেডফোন (Headphone)
বর্ণনা: এটি স্পিকারের মতোই কাজ করে, তবে ব্যক্তিগত অডিও আউটপুট সরবরাহ করে।
প্রজেক্টর (Projector)
বর্ণনা: এটি বড় স্ক্রিনে ছবি বা ভিডিও প্রদর্শন করে।
প্লটার (Plotter)
বর্ণনা: এটি একটি বিশেষ ধরনের প্রিন্টার, যা বড় আকারের গ্রাফিক্স বা ডিজাইন প্রিন্ট করতে ব্যবহৃত হয়।
সিস্টেম ইউনিট হল কম্পিউটারের একটি মূল অংশ যেখানে কম্পিউটারের প্রধান হার্ডওয়্যার উপাদানগুলি অবস্থিত। এটি একটি ধাতব বা প্লাস্টিকের কেসের মধ্যে থাকা ডিভাইস যা কম্পিউটারের কার্যপ্রক্রিয়া সম্পাদনের জন্য দায়ী।
সিস্টেম ইউনিটে থাকা উপাদানগুলোর সাহায্যে কম্পিউটার ডেটা প্রসেস করে এবং আউটপুট তৈরি করে। এটি সফটওয়্যার চালানোর জন্য প্রয়োজনীয় সমস্ত প্রসেসিং ও সংযোগের কাজ সম্পাদন করে।
ডেটা প্রসেসিং এবং নির্দেশনা সম্পাদন।
ইনপুট ডিভাইস থেকে ডেটা গ্রহণ এবং আউটপুট ডিভাইসে প্রেরণ।
তথ্য সংরক্ষণ এবং অ্যাক্সেস।
বিদ্যুৎ সরবরাহ এবং তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ।
মাদারবোর্ড (Motherboard)
বর্ণনা: এটি সিস্টেম ইউনিটের প্রধান সার্কিট বোর্ড।
কাজ: সিপিইউ, র্যম, স্টোরেজ এবং অন্যান্য উপাদানের মধ্যে সংযোগ স্থাপন।
সিপিইউ (CPU - Central Processing Unit)
বর্ণনা: এটি কম্পিউটারের মস্তিষ্ক।
কাজ: ডেটা প্রসেসিং এবং নির্দেশনা সম্পাদন।
র্যাম (RAM - Random Access Memory)
বর্ণনা: এটি একটি অস্থায়ী স্টোরেজ যা ডেটা প্রসেসিংয়ের সময় ব্যবহার করা হয়।
কাজ: দ্রুত তথ্য অ্যাক্সেস এবং সফটওয়্যার চালানো।
স্টোরেজ ডিভাইস (Storage Devices)
বর্ণনা: এটি ডেটা স্থায়ীভাবে সংরক্ষণ করে।
পাওয়ার সাপ্লাই ইউনিট (PSU - Power Supply Unit)
বর্ণনা: এটি সিস্টেম ইউনিটের প্রতিটি উপাদানে বিদ্যুৎ সরবরাহ করে।
কাজ: বিদ্যুতের ভোল্টেজ পরিবর্তন করে কম্পিউটারের উপযোগী করে তোলা।
গ্রাফিক্স কার্ড (Graphics Card)
বর্ণনা: এটি ভিজ্যুয়াল ডেটা প্রক্রিয়াকরণে সাহায্য করে।
কাজ: গেমিং, ভিডিও এডিটিং এবং অন্যান্য গ্রাফিক্স-নির্ভর কাজ।
অপটিকাল ড্রাইভ (Optical Drive)
বর্ণনা: এটি সিডি, ডিভিডি বা ব্লু-রে ডিস্ক পড়ার জন্য ব্যবহৃত হয়।
কুলিং সিস্টেম (Cooling System)
বর্ণনা: এটি সিস্টেম ইউনিটের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
ইন্টারফেস পোর্ট (Interface Ports)
বর্ণনা: এটি বিভিন্ন বাহ্যিক ডিভাইস সংযোগের জন্য ব্যবহৃত হয়।
মাদারবোর্ড হল কম্পিউটারের প্রধান সার্কিট বোর্ড, যা কম্পিউটারের সব গুরুত্বপূর্ণ উপাদানগুলিকে সংযুক্ত করে। এটি একটি প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করে যেখানে সিপিইউ (CPU), র্যাম (RAM), স্টোরেজ ডিভাইস, এবং অন্যান্য উপাদানগুলো সংযুক্ত হয় এবং একসঙ্গে কাজ করে।
বিভিন্ন হার্ডওয়্যার ডিভাইস সংযোগ এবং কার্যক্রম সমন্বয়।
সিপিইউ, র্যাম, স্টোরেজ এবং ইনপুট/আউটপুট ডিভাইসের মধ্যে যোগাযোগ নিশ্চিত করা।
বিদ্যুৎ সরবরাহ নিয়ন্ত্রণ।
সিস্টেমের হার্ডওয়্যার পরিচালনা।
সিপিইউ সকেট (CPU Socket)
বর্ণনা: এখানে সিপিইউ বসানো হয়।
র্যাম স্লট (RAM Slot)
বর্ণনা: এখানে র্যাম মডিউল সংযুক্ত করা হয়।
চিপসেট (Chipset)
বর্ণনা: এটি মাদারবোর্ডের মস্তিষ্ক হিসেবে কাজ করে, যা ডেটা প্রবাহ নিয়ন্ত্রণ করে।
পিসিআই স্লট (PCI Slots)
বর্ণনা: এখানে গ্রাফিক্স কার্ড, সাউন্ড কার্ড, নেটওয়ার্ক কার্ড ইত্যাদি সংযুক্ত করা হয়।
স্টোরেজ পোর্ট (Storage Ports)
বর্ণনা: হার্ড ড্রাইভ (HDD), সলিড স্টেট ড্রাইভ (SSD) সংযোগের জন্য ব্যবহৃত হয়।
পাওয়ার কানেক্টর (Power Connector)
বর্ণনা: মাদারবোর্ডে পাওয়ার সরবরাহের জন্য ব্যবহৃত হয়।
বায়োস/ইউইএফআই (BIOS/UEFI)
বর্ণনা: মাদারবোর্ডে থাকা ফার্মওয়্যার যা কম্পিউটারের হার্ডওয়্যার কনফিগারেশনের দায়িত্বে
RAM (Random Access Memory) হল কম্পিউটারের একটি গুরুত্বপূর্ণ হার্ডওয়্যার যা ডেটা অস্থায়ীভাবে সংরক্ষণ করে। এটি একটি ফাস্ট মেমরি ডিভাইস, যেখানে বর্তমানে ব্যবহৃত ডেটা এবং নির্দেশনা সংরক্ষিত থাকে, যাতে প্রসেসর দ্রুত সেগুলিতে অ্যাক্সেস করতে পারে।
অস্থায়ী মেমরি (Volatile Memory)
RAM ডেটা স্থায়ীভাবে সংরক্ষণ করে না। কম্পিউটার বন্ধ হয়ে গেলে ডেটা হারিয়ে যায়।
দ্রুত গতি (High Speed)
স্টোরেজ ডিভাইসের তুলনায় RAM অনেক দ্রুত ডেটা অ্যাক্সেস করতে পারে।
পড়া এবং লেখা (Read and Write)
RAM-এ ডেটা খুব দ্রুত পড়া এবং লেখা যায়।
প্রসেসিংয়ের জন্য ডেটা স্টোরেজ
RAM-এ ডেটা লোড করা হয় যা প্রসেসর তাৎক্ষণিকভাবে ব্যবহার করতে পারে।
সফটওয়্যার এবং অ্যাপ্লিকেশন চালানো
যেকোনো প্রোগ্রাম বা অ্যাপ্লিকেশন চালানোর সময় তা RAM-এ লোড হয়।
মাল্টিটাস্কিং সুবিধা
RAM একাধিক অ্যাপ্লিকেশন একই সময়ে চালাতে সক্ষম করে।
SRAM (Static RAM)
বৈশিষ্ট্য: দ্রুত, ব্যয়বহুল, বেশি বিদ্যুৎ খরচ করে।
ব্যবহার: ক্যাশ মেমরি হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
DRAM (Dynamic RAM)
বৈশিষ্ট্য: তুলনামূলক সস্তা, প্রতি কয়েক মিলিসেকেন্ডে রিফ্রেশ প্রয়োজন।
ব্যবহার: সাধারণ কম্পিউটার RAM হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
DDR RAM (Double Data Rate RAM)
প্রকারভেদ:
DDR1, DDR2, DDR3, DDR4, DDR5।
উন্নত বৈশিষ্ট্য:
প্রতিটি নতুন জেনারেশনে বেশি গতি এবং কম বিদ্যুৎ খরচ।
ROM (Read-Only Memory) হল কম্পিউটারের একটি স্থায়ী মেমরি, যেখানে ডেটা স্থায়ীভাবে সংরক্ষণ করা হয়। এটি এমন একটি মেমরি, যা কেবলমাত্র পড়া (Read) যায় এবং সাধারণত পরিবর্তন করা যায় না। ROM কম্পিউটারের বুট প্রক্রিয়া এবং হার্ডওয়্যার কনফিগারেশনের জন্য প্রয়োজনীয় নির্দেশনা সংরক্ষণ করে।
স্থায়ী মেমরি (Non-Volatile Memory)
ROM ডেটা সংরক্ষণ করতে বিদ্যুতের উপর নির্ভর করে না, তাই কম্পিউটার বন্ধ থাকলেও ডেটা হারায় না।
কেবল পড়ার মেমরি
ROM-এর ডেটা সাধারণত ব্যবহারকারীরা পরিবর্তন করতে পারে না।
সফটওয়্যার এবং হার্ডওয়্যার নির্দেশিকা সংরক্ষণ
BIOS/UEFI এবং সিস্টেম ফার্মওয়্যার ROM-এ সংরক্ষিত থাকে।
সিস্টেম বুট প্রক্রিয়া (Boot Process)
কম্পিউটার চালু করার সময়, ROM থেকে ডেটা প্রসেসর পড়ে এবং সিস্টেম চালু হয়।
হার্ডওয়্যার কনফিগারেশন নির্দেশিকা সংরক্ষণ
বিভিন্ন হার্ডওয়্যার উপাদানের মৌলিক ফাংশন সংরক্ষণ করে।
ফার্মওয়্যার সংরক্ষণ
ROM-এ হার্ডওয়্যার কনফিগারেশন এবং নির্দেশাবলী সঞ্চিত থাকে।
মাস্কড ROM (Masked ROM)
বর্ণনা:
কারখানায় তৈরি এবং স্থায়ী ডেটা সংরক্ষণ করে।
ব্যবহার:
ইলেকট্রনিক্স ডিভাইসের স্থায়ী ফার্মওয়্যার।
PROM (Programmable ROM)
বর্ণনা:
একবার প্রোগ্রাম করার পর ডেটা পরিবর্তন করা যায় না।
ব্যবহার:
কাস্টম হার্ডওয়্যার অ্যাপ্লিকেশন।
EPROM (Erasable Programmable ROM)
বর্ণনা:
অতিবেগুনী রশ্মি ব্যবহার করে ডেটা মুছে ফেলা এবং নতুন করে লেখা যায়।
ব্যবহার:
পরীক্ষামূলক প্রজেক্টে।
EEPROM (Electrically Erasable Programmable ROM)
বর্ণনা:
বৈদ্যুতিক পদ্ধতিতে ডেটা মুছে ফেলা এবং নতুন করে লেখা যায়।
ব্যবহার:
বায়োস আপডেট এবং মাইক্রোকন্ট্রোলার প্রোগ্রামিং।
Processor (CPU)
Processor বা CPU (Central Processing Unit) হল কম্পিউটারের মস্তিষ্ক। এটি সমস্ত নির্দেশনা প্রক্রিয়া করে এবং কম্পিউটারের অন্যান্য অংশগুলোর সঙ্গে সমন্বয় সাধন করে। CPU এর মাধ্যমে প্রোগ্রাম, অ্যাপ্লিকেশন এবং অপারেটিং সিস্টেমের বিভিন্ন কাজ সম্পন্ন হয়।
নির্দেশনা প্রক্রিয়াকরণ (Instruction Processing):
প্রোগ্রাম থেকে নির্দেশনা গ্রহণ করে, বিশ্লেষণ করে, এবং তা সম্পাদন করে।
গাণিতিক ও যৌক্তিক কার্য সম্পাদন (Arithmetic and Logical Operations):
গাণিতিক এবং যৌক্তিক অপারেশন সম্পাদন করে।
ডেটা স্থানান্তর (Data Transfer):
মেমরি এবং ইনপুট/আউটপুট ডিভাইসের মধ্যে ডেটা স্থানান্তর করে।
নিয়ন্ত্রণ ফাংশন (Control Functions):
কম্পিউটারের বিভিন্ন অংশের কাজ সমন্বয় করে।
ALU (Arithmetic Logic Unit):
গাণিতিক এবং যৌক্তিক কাজ করে।
উদাহরণ: যোগ, বিয়োগ, গুণ, বিভাজন।
CU (Control Unit):
CPU-র বিভিন্ন অংশ এবং মেমরি-র মধ্যে যোগাযোগ এবং নিয়ন্ত্রণ নিশ্চিত করে।
Registers:
ডেটা এবং নির্দেশনা অস্থায়ীভাবে সংরক্ষণ করে।
Cache Memory:
অতি দ্রুত মেমরি যা প্রসেসরের সাথে সরাসরি কাজ করে।
Fetch (তথ্য আহরণ):
মেমরি থেকে নির্দেশনা নিয়ে আসে।
Decode (নির্দেশনা বিশ্লেষণ):
নির্দেশনাকে ডিকোড করে বুঝে।
Execute (প্রক্রিয়া সম্পাদন):
নির্দেশনা সম্পাদন করে।
Store (ডেটা সংরক্ষণ):
প্রয়োজন অনুযায়ী ফলাফল মেমরিতে সংরক্ষণ করে।
Clock Speed (GHz):
প্রসেসর প্রতি সেকেন্ডে কতটি নির্দেশনা প্রক্রিয়া করতে পারে।
উদাহরণ: ৩.৫ GHz মানে প্রসেসর প্রতি সেকেন্ডে ৩.৫ বিলিয়ন নির্দেশনা প্রক্রিয়া করতে পারে।
Cores:
একটি প্রসেসরে থাকা স্বাধীন প্রসেসিং ইউনিটের সংখ্যা।
উদাহরণ: ডুয়াল-কোর (২ কোর), কোয়াড-কোর (৪ কোর)।
Threads:
একটি কোরে একাধিক কাজ করার ক্ষমতা।
উদাহরণ: Hyper-Threading প্রযুক্তি।
Cache Memory:
দ্রুত অ্যাক্সেসের জন্য ব্যবহৃত অস্থায়ী মেমরি।
Architecture:
প্রসেসরের নির্মাণ ধরণ, যেমন ৩২-বিট বা ৬৪-বিট।
Power Supply Unit (PSU) হল একটি হার্ডওয়্যার ডিভাইস, যা বৈদ্যুতিক শক্তি সরবরাহ করে এবং কম্পিউটারের বিভিন্ন উপাদানকে কাজ করার জন্য প্রয়োজনীয় বিদ্যুৎ প্রদান করে। এটি একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উপাদান, কারণ এটি সঠিক ভোল্টেজ, কারেন্ট এবং পাওয়ার নিশ্চিত করে, যা সিস্টেমের কার্যক্ষমতা এবং স্থায়িত্ব বজায় রাখে।
AC থেকে DC কনভার্সন:
পাওয়ার সাপ্লাই এসি (Alternating Current) বিদ্যুৎকে ডিসি (Direct Current) বিদ্যুতে রূপান্তর করে।
সঠিক ভোল্টেজ সরবরাহ:
বিভিন্ন হার্ডওয়্যার (মাদারবোর্ড, হার্ড ড্রাইভ, গ্রাফিক্স কার্ড) নির্দিষ্ট ভোল্টেজে কাজ করে। PSU তা সরবরাহ করে।
সুরক্ষা প্রদান:
ওভারলোড, ওভারভোল্টেজ, এবং শর্ট সার্কিট থেকে কম্পিউটারকে রক্ষা করে।
বিদ্যুৎ সরবরাহ:
CPU, GPU, RAM, স্টোরেজ ডিভাইস, এবং অন্যান্য পেরিফেরাল ডিভাইসকে বিদ্যুৎ সরবরাহ করে।
Transformer:
ভোল্টেজের মাত্রা পরিবর্তন করে।
Rectifier:
এসি থেকে ডিসি বিদ্যুতে রূপান্তর করে।
Filter:
ডিসি পাওয়ার থেকে কোনো অবাঞ্ছিত ঢেউ (ripple) দূর করে।
Voltage Regulator:
সঠিক ভোল্টেজ নিশ্চিত করে।
Graphics Card একটি বিশেষ ধরনের হার্ডওয়্যার যা কম্পিউটারের ভিজ্যুয়াল আউটপুট (গ্রাফিক্স) প্রসেসিংয়ের জন্য ব্যবহৃত হয়। এটি বিশেষত গেমিং, ভিডিও এডিটিং, থ্রিডি মডেলিং, এবং ভিজ্যুয়ালাইজেশন প্রজেক্টে উচ্চমানের গ্রাফিক্স প্রদর্শন করতে সাহায্য করে।
ভিজ্যুয়াল প্রসেসিং:
গ্রাফিক্যাল ডেটা প্রক্রিয়াকরণ করে এবং স্ক্রিনে ছবি, ভিডিও, বা গেম প্রদর্শন করে।
গ্রাফিক্স রেন্ডারিং:
থ্রিডি মডেল এবং জটিল গ্রাফিক্স তৈরি বা রেন্ডার করতে সাহায্য করে।
CPU-এর কাজ ভাগ করে নেওয়া:
গ্রাফিক্স সম্পর্কিত কাজ নিজের হাতে নিয়ে CPU-এর লোড কমায়।
গেমিং ও মাল্টিমিডিয়া:
উচ্চ রেজুলিউশনের গেম চালানোর পাশাপাশি উন্নত মাল্টিমিডিয়া অভিজ্ঞতা প্রদান করে।
GPU (Graphics Processing Unit):
এটি গ্রাফিক্স কার্ডের মূল প্রসেসর।
উদাহরণ: NVIDIA GeForce RTX 4060, AMD Radeon RX 7900।
VRAM (Video RAM):
এটি গ্রাফিক্স কার্ডের মেমরি, যেখানে গ্রাফিক্যাল ডেটা অস্থায়ীভাবে সংরক্ষণ করা হয়।
উদাহরণ: ৬GB, ৮GB বা ১২GB VRAM।
Cooling System:
তাপ কমানোর জন্য ফ্যান বা লিকুইড কুলিং সিস্টেম থাকে।
Interface (PCIe):
মাদারবোর্ডের সাথে সংযোগের জন্য ব্যবহার করা হয়।
Ports:
ডিসপ্লে কানেক্ট করার জন্য HDMI, DisplayPort, DVI ইত্যাদি পোর্ট থাকে।
Integrated Graphics Card:
মাদারবোর্ড বা CPU-তে বিল্ট-ইন।
উদাহরণ:
Intel UHD Graphics, AMD Radeon Vega।
ব্যবহার:
সাধারণ কাজ যেমন অফিস সফটওয়্যার, ভিডিও প্লেব্যাক।
Dedicated Graphics Card:
স্বতন্ত্র কার্ড, যা GPU এবং VRAM সহ আসে।
উদাহরণ:
NVIDIA GeForce RTX 4090, AMD Radeon RX 7600।
ব্যবহার:
গেমিং, ভিডিও এডিটিং, CAD, 3D মডেলিং।
Workstation Graphics Card:
পেশাদার গ্রাফিক্স কাজের জন্য ডিজাইন করা।
উদাহরণ:
NVIDIA Quadro, AMD Radeon Pro।
ব্যবহার:
থ্রিডি রেন্ডারিং, সিমুলেশন, AI।
Hard Disk Drive (HDD) হল একটি স্টোরেজ ডিভাইস যা ডেটা স্থায়ীভাবে সংরক্ষণ করে। এটি কম্পিউটারের প্রধান স্টোরেজ ডিভাইস হিসেবে কাজ করে এবং অপারেটিং সিস্টেম, সফটওয়্যার, ফাইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষণ করে। হার্ড ড্রাইভ ম্যাগনেটিক স্টোরেজ প্রযুক্তি ব্যবহার করে ডেটা লিখে এবং পড়ে।
ডেটা সংরক্ষণ:
স্থায়ীভাবে ফাইল, সফটওয়্যার, অপারেটিং সিস্টেম এবং অন্যান্য ডেটা স্টোর করে।
ডেটা রিড এবং রাইট:
ডেটা পড়া (Read) এবং লেখা (Write) কাজ সম্পাদন করে।
ব্যাকআপ সিস্টেম:
গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংরক্ষণ এবং পুনরুদ্ধারের জন্য ব্যবহৃত হয়।
Platter:
হার্ড ডিস্কের অভ্যন্তরে থাকা চুম্বকীয় চাকতি। প্রতিটি প্ল্যাটারে ডেটা সংরক্ষণ করা হয়।
Spindle:
প্ল্যাটারগুলিকে ধরে রাখে এবং ঘুরিয়ে দেয়।
Read/Write Head:
ডেটা পড়া এবং লেখা করার জন্য ব্যবহৃত হয়।
Actuator Arm:
Read/Write হেডের অবস্থান নিয়ন্ত্রণ করে।
PCB (Printed Circuit Board):
হার্ড ডিস্কের কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ করে এবং মাদারবোর্ডের সাথে যোগাযোগ স্থাপন করে।
ডেটা রাইট:
Read/Write হেড প্ল্যাটারের নির্দিষ্ট অংশে ডেটা লিখে।
ডেটা রিড:
প্ল্যাটার থেকে ডেটা পড়ে এবং তা মেমোরিতে পাঠায়।
রোটেশন:
প্ল্যাটার উচ্চ গতিতে ঘুরে, যা দ্রুত ডেটা অ্যাক্সেসে সাহায্য করে।
CMOS Battery একটি ক্ষুদ্র ব্যাটারি যা কম্পিউটারের মাদারবোর্ডে সংযুক্ত থাকে। এটি CMOS (Complementary Metal-Oxide-Semiconductor) চিপকে বিদ্যুৎ সরবরাহ করে, যেখানে BIOS সেটিংস ও সিস্টেমের সময়-তারিখের তথ্য সংরক্ষিত থাকে। কম্পিউটার বন্ধ থাকলেও এই ব্যাটারির কারণে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য মুছে যায় না।
BIOS সেটিংস সংরক্ষণ:
কম্পিউটারের বুট অপশন, হার্ডওয়্যার কনফিগারেশন এবং অন্যান্য সিস্টেম সেটিংস CMOS চিপে সংরক্ষিত থাকে। CMOS ব্যাটারি এই তথ্যকে সুরক্ষিত রাখে।
সিস্টেম ক্লক চালু রাখা:
CMOS ব্যাটারি বন্ধ অবস্থাতেও কম্পিউটারের সময় ও তারিখ ঠিক রাখে।
মাদারবোর্ডে শক্তি সরবরাহ:
মাদারবোর্ডের ক্ষুদ্র বিদ্যুৎ প্রয়োজন মেটায়, যাতে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য মুছে না যায়।
বেসিক হার্ডওয়ার সমস্যা এবং সম্ভাব্য সমাধান
সমস্যা
ধরন
কারণ
সমাধান
ডেক্সটপ কম্পিউটার
কম্পিউটার চালু হচ্ছে না
হার্ডওয়্যার
১. পাওয়ার সাপ্লাইয়ে সমস্যা
২. পাওয়ার বাটনের সমস্যা
৩. র্যামের সমস্যা
৪. প্রসেসরের সমস্যা
১. পাওয়ার সাপ্লাই ঠিক আছে কিনা। এবং প্রয়োজনীয় সব ক্যাবল লাগানো ।
আছে কিনা চেক করুন।
২. কেসিং এর পাওয়ার বাটন চেক
করুন।
৩. ইন্টারনাল স্পীকার একের অধিক বীপ আওয়াজ ক্রমাগত করলে বুঝতে হবে র্যামের সমস্যা। র্যাম বদলাতে
হবে।
৪. প্রসেসর ঠিকমতো বসানো আছে কিনা এবং কুলিং ফ্যান চেক করুন।
কম্পিউটার বারবার রিস্টার্ট হচ্ছে
সফটওয়্যার
১. ভাইরাসের কারণে
২. এন্টিভাইরাসের কারণে
৩. কোনো বিশেষ অসামঞ্জস্যপূর্ণ
সফটওয়্যার ইন্সটলের কারণে
৪. অপারেটিং সিস্টেমের সমস্যার জন্য
১. এন্টিভাইরাস দিয়ে পুরো পিসি
সমস্যার ভালো করে স্ক্যান করুন।
২. একাধিক এন্টিভাইরাস পিসিতে
ইন্সটল করবেন না।
৩. যদি বিশেষ কোনো সফটওয়্যার ইন্সটল করার পর থেকে সমস্যাটি দেখা দিয়ে তাহলে সেটি মুছে ফেলুন।
হার্ডওয়্যার
১. র্যাম
২. পাওয়ার সাপ্লাই
৩. কুলিং ফ্যান
৪. নতুন হার্ডওয়্যার
৫. ধুলাবালি
১. কখনোই ভিন্ন ভিন্ন বাস স্পীডের র্যাম ব্যবহার করবেন না।
২. র্যামটি খুলে অন্য স্লটে লাগিয়ে দেখুন।
৩. বিদ্যুতের উঠানামার জন্য এমনটা হলে ইউপিএস ব্যবহার করুন।
৪. প্রসেসর কুলিং ফ্যান ঠিকমতো ঘুরছে কিনা এবং সেটি শক্তভাবে প্রসেসরে লাগানো আছে কিনা তা পরীক্ষা করুন।
৫. নতুন কোনো হার্ডওয়্যার লাগানোর পর থেকে যদি সমস্যার শুরু হয় তাহলে সেটি খুলে ফেলুন।
৬. কম্পিউটারের কেসিং এর ভেতরটা ধুলাবালি মুক্ত রাখুন।
কম্পিউটার চালুর পর নিজেই হার্ডওয়্যার বন্ধ হয়ে যাচ্ছে
হার্ডওয়্যার
১. প্রসেসরের কুলিং ফ্যানের সমস্যা
১. মাদারবোর্ডে প্রসেসরের কুলিং ফ্যান
শক্তভাবে বসানো আছে কিনা চেক
করুন।
২. কম্পিউটার পুরাতন হলে প্রসেসরের আর ফ্যানের মাঝে থাকা থার্মাল পেস্ট ক্ষয়ে যাবার কারণে এমন হলে নতুন পেস্ট লাগাতে হবে।
৩. ফ্যানে জমে থাকা ধুলো পরিস্কার
করতে হবে, এয়ার ব্লোয়ার ব্যবহার করলে সবচেয়ে ভালো হয়।
কম্পিউটার চালু করার পর বীপ দিতে থাকে
হার্ডওয়্যার
১.যদি বীপ সংখ্যা এক হয় তার মানে কম্পিউটার ডিসপ্লে আউটপুট পাচ্ছে
না। অথবা
কীবোর্ড মাদারবোর্ডের সাথে ঠিকমতো সংযুক্ত না হলেও এমনটা হতে পারে।
২. যদি একটি বড় বীপের পর দুটি ছোটো বীপ হয় তারমানে র্যাম পাচ্ছে না আপনার মাদারবোর্ড।
৩. যদি একটি বড় বীপের পর তিনটি ছোট বীপ হয় তাহলে বুঝবেন নিশ্চিতভাবেই ডিসপ্লে বা গ্রাফিক্স আউটপুটের সমস্যা।
৪. যদি একটি বড় বীপ তারপর চারটা ছোট বীপ হয় তারমানে আপনার মাদারবোর্ড বা গুরুত্বপূর্ণ কোন হার্ডওয়্যার নষ্ট হয়ে গিয়েছে বা ঠিকমতো কাজ করছে না।
১.র্যাম পরিবর্তন না করে স্লট পরিবর্তন করে দেখুন।
২.মনিটরের দিকে তাকান। এটি কি স্লীপ মোডে আছে? অর্থাৎ এর লেড লাইট কি জ্বলছে নিভছে কিনা খেয়াল করুন। যদি তা না হয় অর্থাৎ লেড লাইট জ্বলেই থাকে এবং মনিটরে কিছু না কিছু দেখা যায় তাহলে আপনার মাদারবোর্ড ও গ্রাফিক্স কার্ড ঠিক আছে।
৩.যদি পাওয়ার অন করাই সম্ভব না হয় তাহলে কেসিং খুলে দেখুন নিঃসন্দেহে
আপনার পাওয়ার সাপ্লাইয়ে
সমস্যা।
৪.এবারে ধরুন মাদারবোর্ডের পাওয়ার
বাটন চাপলেও পিসি রেসপন্স করছে না
তখন বুঝতে হবে কেসিংয়ের পাওয়ার
সাপ্লাইয়ে কোন সমস্যা হবার কারণে এটির পর্যাপ্ত ভোল্টেজ আউটপুট দিতে পারছে না। এক্ষেত্রে সম্ভব হলে অন্য পাওয়ার সাপ্লাই লাগিয়ে চেষ্টা করে দেখুন।
৫. পাওয়ার সুইচের সমস্যা। অভিজ্ঞ কাজ জানা ব্যবহারকারীরা সম্ভব হলে মাদারবোর্ডের ম্যানুয়াল দেখে মাদারবোর্ডের পাওয়ার বাটন পিন দুইটি বের করে তা কোনোভাবে কন্টাক্ট করে দেখতে পারেন কাজ হয় কিনা।
পাওয়ার সাপ্লাই কাজ করছে না
হার্ডওয়্যার
১. পাওয়ার সাপ্লাই নষ্ট হয়ে গেছে।
১. নষ্ট হলে ঠিক না করে নুতন পাওয়ার সাপ্লাই লাগানো যেতে পারে।
উইন্ডোজ চালু হতে বেশি সময় নিচ্ছে
সফটওয়্যার
১. স্টার্টআপে প্রোগ্রামের সংখ্যা বেশি।
১. স্টার্ট মেনু বা রান (RUN) গিয়ে MSCONFIG লিখে এন্টাপর দিন। স্টার্ট আপ ট্যাব থেকে অপ্রয়োজন্যীয় প্রোগ্রাম আনচেক করুন।
কম্পিউটার বারবার হ্যাং করছে
সফটওয়্যার
১. ভাইরাস
২. একাধিক এন্টিভাইরাস
১. এন্টিভাইরাস দিয়ে পিসি ভালোমতো স্ক্যান করুন।
২. একসাথে একের অধিক এন্টিভাইরাস পিসিতে ইন্সটল করবেন না।
হার্ডওয়্যার
১. র্যাম
১. র্যাম ঠিকমতো স্লটে বসানো আছে কিনা দেখুন।
২. একই বাসস্পীডবিশিষ্ট র্যাম ব্যবহার করবেন।
কম্পিউটার স্লো হয়ে গেছে
সফটওয়্যার
১. ভাইরাস
২. অপ্রয়োজনীয় প্রোগ্রাম
৩. সি ড্রাইভে অপর্যাপ্ত স্পেস
১. এন্টিভাইরাস দিয়ে পিসি স্ক্যান করুন।
২. খুব বেশি এপ্লিকেশন বা সফটওয়্যার পিসিতে ইন্সটল করবেন না।
৩. সি ড্রাইভ বা উইন্ডোজের ড্রাইভে ২০% স্পেস সবসময় খালি রাখবেন।
হার্ডওয়্যার
১. র্যাম
২. ধুলাবালি
১. কম্পিউটারের ভেতর এবং আশপাশ সব সময় ধুলাবালি মুক্ত রাখবেন।
২. উষ্ণ কোনো স্থানে কম্পিউটার রাখবেন না।
৩. প্রয়োজনের চেয়ে র্যমের মেমোরির পরিমাণ কম।
কম্পিউটারের ঘড়ির সময় ঠিক থাকছে না
হার্ডওয়্যার
১. মাদারবোর্ডের পুরাতন হলে বায়োসের ব্যাটারী ডাউন হবার কারণে
১. কম্পিউটারের মাদারবোর্ডে থাকা বায়োসের কয়েন সদৃশ ব্যাটারীটি বদলে দিতে হবে।
মনিটর
কম্পিউটারের ডিসপ্লেতে কিছু আসছে না
হার্ডওয়্যার
১. র্যামের সমস্যা
২. গ্রাফিক্স কার্ডের সমস্যা
৩. কানেকশনের সমস্যা
১. মনিটরের পাওয়ার এবং সিপিইউ'র ডিসপ্লে আউটপুট থেকে মনিটর পর্যন্ত সব কানেকশন ঠিক আছে কিনা চেক করুন।
২. র্যামের স্লট পরিবর্তন করে বসালেও এ সমস্যা মাঝেমাঝে ঠিক হতে পারে।
৩. যদি কম্পিউটার অন করার পর ইন্টারনাল সিস্টেম স্পীকার তিনবার ছোটো ছোটো বীপ করে তাহলে বুঝতে হবে গ্রাফিক্স কার্ডের সমস্যা। আপনার গ্রাফিক্স কার্ড চেক করুন।
৪. বায়োস রিসেট দিন।
মনিটরের স্ক্রীণ ঝাপসা
সফটওয়্যার
১. ড্রাইভার ইন্সটল করা নেই
২. ডাইরেক্ট এক্স এর সমস্যা
৩. সেটিংস এর সমস্যা
১. আপনার গ্রাফিক্স কার্ডের জন্য সর্বশেষ ড্রাইভার ডাউনলোড করে ইন্সটল করুন
২. ডাইরেক্ট এক্স আপডেট করুন।
৩. ডিসপ্লে সেটিংস এ গিয়ে রেজুলেশন এবং রিফ্রেশ রেট(৬০ হার্টজ) চেক করুন। কালার মোড(৩২ বিট) চেক করুন।
গ্রাফিক্স কার্ডের সমস্যা
হার্ডওয়্যার
১. কানেকশনের সমস্যা
২. বায়োস সেটিংস
৩. ত্রুটিপূর্ণ গ্রাফিক্স কার্ড
১. গ্রাফিক্স কার্ড এবং মনিটরের কানেকশন চেক করুন।
২. বায়োসের সেটিং ডিফল্ট করে দিন।
৩. যদি কম্পিউটার অন করার পর সিস্টেম স্পীকার ৩টি বীপ করে তাহলে বুঝতে হবে গ্রাফিক্স কার্ডে সমস্যা হয়েছে। অন্য গ্রাফিক্স কার্ড লাগিয়ে চেক করুন।
মনিটরের লেখা/ছবি উলটে গেছে
সফটওয়্যার
১. সেটিংস এর সমস্যা
১. গ্রাফিক্স কার্ডের সেটিংস এ গিয়ে রোটেশন অফ করে দিন বা শূণ্য ডিগ্রী করে দিন।
2. ctrl+alt+ up arrow key
মনিটরের কনট্রাস্ট রেশিও হার্ডওয়্যার ঠিক করে দিলেও বার বার উইন্ডোটি আসতে থাকে।
হার্ডওয়্যার
১. ভিজিএ ক্যাবল এ সমস্যা থাকতে পারে।
২। গ্রাফিক্স কার্ডের কারণে হতে পারে
৩। মনিটরের সুইচ/আইসিতে সমস্যা থাকতে পারে।
৪। এজ মডেমের সিগনালের কারনে হতে পারে।
১। ভিজিএ ক্যাবল এ সমস্যা থাকতে পারে।
২। ভিজিএ ক্যাবল ঠিকমত লাগাতে হবে।
৩। এজ মডেম সামনের পোর্ট থেকে খুলে পিছনের পোর্টে লাগাতে হবে।
মনিটরের স্ক্রিনে নীল রং হার্ডওয়্যার এসে থেমে যায় এবং মনিটর চালু হয় না
হার্ডওয়্যার
১. হার্ডওয়্যার এর সমস্যা হতে পারে
১. অভিজ্ঞ কোনো টেকনিশিয়ানকে দেখান।
সফটওয়্যার
১. র্যাম স্লটে সমস্যা হতে পারে।
২.উইন্ডোজ ইন্সটলেশন সমস্যা হতে পারে।
৩. বেড সেক্টর এর কারণে হতে পারে।
৪. ভাইরাসের কারণে হতে পারে।
১. পুনরায় কম্পিউটার রিস্টার্ট করা যেতে পারে।
২. র্যাম স্লট পরিবর্তন করে দেখা যেতে পারে।
৩.উইন্ডোজ সেট আপ দেয়া যেতে পারে।
৪. হার্ডডিস্কের ব্যাড সেক্টর সমস্যার সমাধান করতে হবে।
CRT মনিটর ডিসপ্লে তে বিভিন্ন color আসা
হার্ডওয়্যার
১. মনিটরের পাশে ম্যাগনেটিক ফিল্ডের উপস্থিতি।
২.ভিজিএ ক্যাবল নষ্ট
১. মনিটরের contrast মেন্যুতে Language বাটনে ক্লিক করলেই ভিতরের সমস্ত ray বের হয়ে গিয়ে ঠিক হয়ে যাবে।
২. ভিজিএ ক্যাবল চেক করতে হবে।
৩. সকল ম্যাগনেটিক বস্তু বিশেষত স্পীকার মনিটর থেকে দূরে সরাতে হবে।
উইন্ডোজ সেটআপ
উইন্ডোজ এক্সপি সেটআপ হচ্ছে না
হার্ডওয়্যার
১. বুট ডিভাইস সেটিংস
২. সিডিতে সমস্যা
৩. র্যামের সমস্যা
৪. হার্ডডিস্কের কম্পাটিবিলিটি
১. বায়োসের বুট ডিভাইস প্রায়োরিটি থেকে সিডি ডাইভ প্রথমে নিয়ে আসুন।
২. যদি ফাইল কপি হবার সময় আটকে যায় তাহলে বুঝতে হবে সিডিতে সমস্যা, অন্য সিডি ব্যবহার করুন।
৩. ইন্সটলেশন শুরুর পর আটকালে সেটা র্যামের কারণে হতে পারে। সব র্যাম একই বাস স্পীডবিশিষ্ট কিনা তা দেখুন। স্লট পরিবর্তন করে দেখুন।
৪. যে ড্রাইভে ইন্সটল করছেন সেটা এনটিএফএস (NTFS) ফরম্যাটে আছে কিনা চেক করে দেখুন।
উইন্ডোজ এক্সপি হার্ডডিস্ক সফটওয়্যার খুঁজে পাচ্ছে না
সফটওয়্যার
১. নতুন মডেলের হার্ডডিস্ক
১. উইন্ডোজ এক্সপির সার্ভিস প্যাক ৩ ব্যবহার করুন। ল্যাপটপের ক্ষেত্রে মাইক্রোসফট নির্মাতার মডেলের উপর ভিত্তি করে এক্সপির আলাদা ভার্সন বানিয়ে থাকে। সেটা ব্যবহার করতে হবে।
হার্ডওয়্যার
১. কানেকশনে সমস্যা
২. হার্ডডিস্ক কন্ট্রোলার
১. হার্ডডিস্কের সাথে মাদারবোর্ডের কানেকশন ঠিক আছে কিনা দেখুন।
২. বায়োসের সেটিংস এ হার্ডডিস্ক কন্ট্রোল মোড হবে আইডিই।
উইন্ডোজ এর কোন সিস্টেম ফাইল নষ্ট হয়ে যাওয়া
হার্ডওয়্যার
১. ভাইরাসের কারণে
১. Google এ সার্চ দিয়ে নির্দিষ্ট ফাইলটি খুজে উইন্ডোজ এর নির্দিষ্ট ফোল্ডারে পেস্ট করতে হবে।
উইন্ডোজ সেভেন/ভিসতা
থাকলে এক্সপি ইন্সটল হয় না
সফটওয়্যার
১. উইন্ডোজের নিয়ম এটি
১. EasyBCD সফটওয়্যার দিয়ে কাজটি করা যায়।
User Account এর পাসওয়ার্ড ভুলে যাওয়া
১. সেফ মুডে কম্পিউটার অন করে পাসওয়ার্ড মুছে দেয়া।
2.ctrl+alt চেপে ধরে দুইবার delete চেপে
administrator দিয়ে ওপেন করা।
হার্ডডিস্ক
কম্পিউটার হার্ডডিস্ক পাচ্ছে না
হার্ডওয়্যার
১. কানেকশনে সমস্যা
২. বায়োসের সেটিংস
৩. হার্ডডিস্কের সমস্যা
১. হার্ডডিস্কের সাথে মাদারবোর্ডের কানেকশন ঠিক আছে কিনা দেখুন।
২. বায়োসের সেটিংস এ হার্ডডিস্ক ঠিকমতো দেখাচ্ছে কিনা দেখুন। ডিফল্ট সেটিং ব্যবহার করুন।
৩. হার্ডডিস্ক পুরাতন হলে বা ব্যাড সেক্টর পড়লে নতুন হার্ডডিস্ক ব্যবহার ছাড়া উপায় নেই।
হার্ডডিস্কের ব্যাডসেক্টর
হার্ডওয়্যার
১. ঘন ঘন বিদ্যুৎচলে গেলে
২. যথাযথ ভাবে কম্পিউটার বন্ধ করা না হলে
১.ফিজিক্যাল বেড সেক্টর দূর করা যায় না।
২. লজিক্যাল বেড সেক্টর দূর করার জন্য বিভিন্ন ইউটিলিটি সফটওয়্যার ব্যবহার করা যায় যেমন- Norton utility disk doctor
৩.C ড্রাইভ এর properties থেকে Tools এর check now এ গিয়ে দুইটি check box ok দিয়ে start এ ক্লিক করতে হবে।
কীবোর্ডের কী কাজ করছে না
হার্ডওয়্যার
১. ধুলাবালি/তরল পদার্থের জন্য
২. কী বোর্ড পুরাতন হয়ে গেলে।
৩.কী বোর্ড এর কার্বন নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
১. ধুলাবালি পরিষ্কার করে শুষ্ক স্থানে রাখুন।
২. নতুন কীবোর্ড ব্যবহার করাই ভালো।
সফটওয়্যার
১. কীবোর্ড সেটিংসের সমস্যা
১. কন্ট্রোল প্যানেলে গিয়ে কীবোর্ড সেটিং চেক করুন।
উইন্ডোজ আপডেটের পর সফটওয়্যার সমস্যা
সফটওয়্যার
১. আপডেট কম্পাটিবল না
১. নতুন আপডেটটি আনইন্সটল করে ফেলুন।
হার্ডওয়্যার আপডেটের পর সফটওয়্যার সমস্যা
সফটওয়্যার
১. আপডেট কম্পাটিবল না
১. নতুন আপডেটটি আনইন্সটল করে ফেলুন।
সিডি/ডিভিডি ড্রাইভ ডিস্ক হার্ডওয়্যার রীড করছে না
হার্ডওয়্যার
১. ডিস্কে সমস্যা
২. ড্রাইভের হেডে জমে থাকা ধুলো
১. বেশি স্ক্র্যাচ/দাগযুক্ত সিডি/ডিভিডি ড্রাইভে ঢুকাবেন না।
২. সিডি ক্লিনার বা ড্রাইভ খুলে হেড পরিস্কার করুন।
একটি বিশেষ সিডি/ডিভিডি হার্ডওয়্যার চলছে না
হার্ডওয়্যার
১.সিডিটি নষ্ট হতে পারে
২.সিডি/ডিভিডি ড্রাইভটি দূর্বল হয়ে যেতে পারে।
১.বায়োস এ গিয়ে সিডি/ডিভিডি রমকে প্রথম বুট প্রায়োরিটি দিতে হবে।
২.সিডি/ডিভিডি ড্রাইভ এর ক্যাবল মাদারবোর্ড এর অন্য স্থানে লাগাতে হবে।
৩.নতুন করে বায়োস সেট আপ করা যেতে পারে।
কম্পিউটারে সাউন্ড নেই
সফটওয়্যার
১. ড্রাইভার ইন্সটল করা নেই
২. ভুল সেটিংস করা আছে
১. মাদারবোর্ডের ড্রাইভার সিডি থেকে সাউন্ডের ড্রাইভার আপডেট করুন।
২. উইন্ডোজের সাউন্ড সেটিংস এ গিয়ে ডিফল্ট সাউন্ড ডিভাইস চেক করুন।
কম্পিউটারের সামনের পোর্ট দিয়ে সাউন্ড আসছে না
সফটওয়্যার
১. ড্রাইভার ইন্সটল করা নেই
১. মাদারবোর্ডের ড্রাইভার সিডি থেকে সাউন্ডের ড্রাইভার আপডেট করুন।
হার্ডওয়্যার
১. বায়োস সেটিংস ঠিক নেই
২. মাদারবোর্ডে জ্যাক লাগানোয় সমস্যা
১. বায়োসে গিয়ে ফ্রন্ট প্যানেল অডিও আউটপুট এসি’৯৭ সেট করুন।
২. মাদারবোর্ডের ম্যানুয়াল অনুযায়ী ঠিকভাবে সাউন্ডের জ্যাক সঠিক পোর্টে লাগানো হয়েছে কিনা দেখুন।
স্কাইপিতে মাইক্রোফোন কাজ করে না
সফটওয়্যার
১.সাউন্ড ডিভাইস ডিজেবল
থাকলে
২.স্কাইপি সাউন্ড সেটিং ঠিক না
৩. ডিফল্ট মাইক্রোফোন ঠিক না থাকলে
১. উইন্ডোজের ডিফল্ট রেকর্ডিং ডিভাইস চেক করুন।
২. সাউন্ড কার্ডের ড্রাইভার আপডেট করে মাইক্রোফোন এনাবেল করুন।
৩. স্কাইপি কল সেটিং থেকে অডিও সেটিং এ গিয়ে মাইক্রোফোন চেক করে দিতে হবে।
মাউস ঠিক মতো কাজ করছে না
হার্ডওয়্যার
১. বল মাউসের ক্ষেত্রে ধুলো
২. মাউসের পোর্ট
৩. মাউস ব্যবহারের তল
১. বল মাউসের রোলার বলটি খুলে পরিস্কার করুন।
২. ইউএসবি অপটিক্যাল মাউস হলে পোর্ট পরিবর্তন করুন।
৩. প্রতিফলিত হতে পারে এমন কোনো স্থানে রেখে অপটিক্যাল মাউস ব্যবহার করবেন না।
ইউএসবি ডিভাইস পাচ্ছে না
হার্ডওয়্যার
১. বায়োসে ডিজাবল করা
১. বায়োস রিসেট বা ইউএসবি এনাবেল করে দিন।
পেন ড্রাইভ ফরম্যাট হয় না
সফটওয়্যার
১. ভাইরাস
২. ফাইল সিস্টেমের সমস্যা।
১. ফরম্যাটিং টুল ব্যবহার করা।
২. ডস মুডে গিয়ে ফরম্যাট করা।
৩. অন্য পিসিতে চেষ্টা করা।
৪. অটো রান করে চেষ্টা করা।
৫. পেন ড্রাইভ নির্মাতার ওয়েব সাইট থেকে ফরম্যাট টুল ব্যবহার করা।
PDF ফাইল এডিট করা যায় না
সফটওয়্যার
১. প্রয়োজনীয় সফটওয়ারের অভাব
১. Adobe Acrobat Professional (min 6 or upper version) দিয়ে করা যায়।
বাংলা পড়া যাচ্ছে না।
সফটওয়্যার
১. দরকারি বাংলা ফন্ট নেই
১. প্রয়োজনীয় সকল ফন্ট কপি করে ফন্ট ফোল্ডারে পেস্ট করতে হবে।
ইন্টারনেট
ডায়ালআপ মডেম কানেকশন পাচ্ছে না
সফটওয়্যার
১. ডিভাইস ড্রাইভার
২. ভুল ডায়ালআপ নাম্বার
১. ডিভাইস ম্যানেজারে গিয়ে মডেমের ড্রাইভার এবং মডেম ঠিকমতো কাজ করছে কিনা চেক করুন।
২. ডায়ালআপ নাম্বার এবং পাসওয়ার্ড চেক করুন।
৩. ইন্টারনেট কানেকশনের সব সেটিং চেক করুন।
৪. নতুন করে কানেকশন প্রোফাইল তৈরি করুন।
মোবাইল ইন্টারনেটে সংযোগ পাওয়া যাচ্ছে না।
সফটওয়্যার
১. সীমের সংয়োগ বা ইউএসবি পোর্টের সংযোগ
২. কানেকশন সেটিংস পরিবর্তনের কারণে
৩. অন্য কোন ডিভাইস দিয়ে ইন্টারনেট ব্যবহারের কারণে
১. সীম ট্রে থেকে সিমটি খুলে আবার ভালোমতো সেখানে স্থাপন করুন।
২. ইউএসবি পোর্ট পরিবর্তন করে দেখুন।
৩. পিসি রিস্টার্ট দিয়ে দেখুন।
৪. মডেমের ড্রাইভার আনইন্সটল করে নতুন করে আবার ইন্সটল করুন।
৫. অন্য কোনো মডেম বা মোবাইল ফোনের ড্রাইভার ইন্সটল করা হয়ে থাকলে সেগুলো আনইন্সটল করে তারপর নতুন করে আবার ইন্সটল করুন।
কম্পিউটার ইন্টারনেট মডেম খুঁজে পাচ্ছে না।
সফটওয়্যার
১. পোর্টের সমস্যা
২. ড্রাইভার নেই।
১. অন্য ইউএসবি পোর্টে মডেম লাগিয়ে দেখুন।
২. কম্পিউটার রিস্টার্ট দিন।
৩. অন্য মডেমের ড্রাইভ মুছে ফেলে নতুন করে মডেম ড্রাইভার ইন্সটল করুন।
মডেমে নো নেটওয়ার্ক/নো সার্ভিস
সফটওয়্যার
১. ড্রাইভারের সমস্যা
২. সীমের সংযোগ
১. ড্রাইভার নতুন করে ইন্সটল করুন।
২. সীমটি মডেমের ট্রে থেকে খুলে আবার ভালোভাবে স্থাপন করুন।
ইন্টারনেট সংযোগের ধীরগতি
হার্ডওয়্যার
১. সংযোগ লাইনের দুর্বলতা।
১. মোবাইল ইন্টারনেট কিংবা ডায়ালআপ ইন্টারনেটের গতি এমনিতেই কম। ব্রডব্যান্ড, এডিএসএল কিংবা ওয়াইম্যাক্স ব্যবহার করে ভালো গতি পেতে পারেন।
নেটওয়ার্কে থাকা কম্পিউটারে সংযুক্ত হওয়া যাচ্ছে না।
সফটওয়্যার
১. আইপি এড্রেস
২. সেটিংস
১. নেটওয়ার্কে থাকা কম্পিউটারগুলোর আইপি এড্রেস ঠিক আছে কিনা দেখুন
২. অন্য কম্পিউটারের সাথে শেয়ারিং অন আছে কিনা দেখুন।
ইউপিএস
ইউপিএস ব্যকআপ দিচ্ছে না
হার্ডওয়্যার
১. ব্যাটারী পুরাতন
১. যদি ইউপিএস পুরাতন হয়ে থাকে তাহলে ইউপিএস-এ থাকা ব্যাটারী পরিবর্তন করুন।
২. নতুন ইউপিএস এ এই সমস্যা হলে সার্কিটের কারণে তা হতে পারে।
ইউপিএস থাকার পরেও কম্পিউটার রিস্টার্ট হয়
হার্ডওয়্যার
১. সার্টিকের সমস্যা
২. চার্জ কম
৩. লোড বেশি
১. ইউপিএস এ চার্জ কম থাকলে এমন হতে পারে।
২. যদি ইউপিএস এর আউটপুট ক্ষমতার চেয়ে কম্পিউটারের লোড বেশি হয়ে যায় তাহলে হতে পারে। প্রিন্টার, স্ক্যানার ইউপিএস এর সাথে লাগাবেন না।
৩. সব ঠিক থাকার পরেও সমস্যা হলে সেটা সার্কিটের কারণে হতে পারে।
প্রিন্টার
প্রিন্টার কাজ করছে না
সফটওয়্যার
১. ড্রাইভার
২. ডিফল্ট প্রিন্টার সেটিংস
১. আপডেটেড প্রিন্টার ড্রাইভার ব্যবহার করতে হবে।
২. ডিফল্ট প্রিন্টার সেটিংস চেক করতে হবে।
হার্ডওয়্যার
১. কানেকশন সমস্যা
১. প্রিন্টারের সাথে ইউএসবি পোর্টের কানেকশন চেক করুন ।
২. ইউএসবি পোর্ট পরিবর্তন করে দেখুন।
কার্ট্রিজ রিফিল করার পর সমস্যা হচ্ছে।
হার্ডওয়্যার
১. কালির সমস্যা
২. কার্ট্রিজের সমস্যা
১. রিফিলে ব্যবহৃত কালির মান ভালো না।
২. রিফিলের ফলে কার্ট্রিজে সমস্যা দেখা দিয়েছে।
একই পেজ বারবার প্রিন্ট হচ্ছে
সফটওয়্যার
১. সফটওয়্যার /ড্রাইভারের সমস্যা
১. প্রিন্টার অফ করে পিসি থেকে ক্যাবল খুলে কিছুক্ষণ পর আবার লাগিয়ে অন করুন।
২. নোটিফিকেশন এরিয়ার প্রিন্টার ডকুমেন্ট লিস্ট থেকে জমে থাকা ফাইল মুছে ফেলুন।
কমান্ড দিলে প্রিন্ট শুরু হচ্ছে না
হার্ডওয়্যার
১. কাগজ ঠিকমতো নেই
২. কার্ট্রিজ ঠিকমত বসানো নেই
১. কাগজ ঠিকমতো আছে কিনা চেক করুন। প্রিন্টারে খুলে কার্ট্রিজ চেক করুন এবং প্রয়োজনবোধে খূলে আবার লাগান। নতুনভাবে কার্ট্রিজ লাগানোর পর প্রিন্টার সফটওয়্যার দিয়ে আবার এলাইনমেন্ট ঠিক করুন।
প্রোজেক্টর
প্রোজেক্টরে ছবি আসছে না
হার্ডওয়্যার
১. ভুল কানেকশন
২. ক্যাবলের সমস্যা
৩. ল্যাম্পের সমস্যা
১. আগে প্রোজেক্টরের ম্যানুয়াল পড়ে নিতে হবে।
২. গ্রাফিক্স কার্ড বা ল্যাপটপের আউটপুটের সাথে প্রোজেক্টরের ইনপুটের সংযোগ চেক করতে হবে।
৩. ক্যাবলের দৈর্ঘ্য ১০ মিটারের বেশি হওয়া যাবে না।
৪. ল্যাম্পের লাইফ সাইকেল সম্পর্কে ধারণা রাখতে হবে।
সফটওয়্যার
১. উইন্ডোজের ডিসপ্লে সেটিংস
২. প্রোজেক্টরের সের্টিংস
১. উইন্ডোজের সেকেন্ডারি ডিসপ্লে সেটিংস চেক করুন। উইন্ডোজ+p বাটন প্রেস করে সহজেই এটি করা যায়।
২. উইন্ডোজের প্রোজেক্টর রেজুলেশন আর প্রোজেক্টরের সাপোর্টেড রেজুলেশন ঠিক থাকতে হবে।
৩. সব কানেকশন ঠিক থাকলে আগে প্রোজেক্টর অন করুন, তারপর কম্পিউটার।
৪. প্রোজেক্টরে একাধিক ইনপুটের সিস্টেম থাকলে সেটা চেক করুন।
প্রোজেক্টরে ছবিতে ডট/দাগ
হার্ডওয়্যার
১. প্রোজেক্টরের লেন্সে জমা
ধুলাবালি
১. নিয়মিত প্রোজেক্টরের লেন্স পরিস্কার করতে হবে।
প্রোজেক্টরের স্ক্রীণে স্পষ্ট ছবি আসছে না
সফটওয়্যার
১. রেজুলেশনের সমস্যা
১. প্রোজেক্টরে অটোমেটিক সেটিংস এর কোনো বাটন থাকলে তা প্রেস করুন।
২. ডেস্কটপ/ল্যাপটপের রেজুলেশন
সেটিংস পরিবর্তন করে দেখুন।
৩.ডেস্কটপ/ল্যাপটপের ডিসপ্লে
ডিজাবেল করে দিন।
প্রোজেক্টর এ বায়োস এর
ডিসপ্লে আসছে না
হার্ডওয়্যার
১. ডিভাইস সাপোর্ট নেই
১. এই সমস্যার সমাধান নেই।
ল্যাপটপের কোন জিনিস হার্ডওয়্যার প্রজেক্টর এ দেখানো যায় না
হার্ডওয়্যার
১.ক্যাবল সংযোগ দূর্বল হতে পারে
১. ক্যাবল সংযোগ ঠিকমত লাগাতে হবে।
সফটওয়্যার
১. Resolution পার্থক্য
থাকতে পারে।
২. Settings এ নির্দিষ্ট
অপশন আনচেক থাকতে পারে।
1. Desktop properties. settings-advanced- Graphics Media – graphics properties-
single/multiple display (চেক করে দিতে হবে)।
২. উইন্ডোজ সেভেন উইন্ডোজ+পি কী প্রেস করতে হবে।
ল্যাপটপ কম্পিউটার
ল্যাপটপ চালু হচ্ছে না
হার্ডওয়্যার
১. ব্যাটারীর সমস্যা
২. চার্জিং পোর্টের সমস্যা
৩. কারিগরী সমস্যা
১. ল্যাপটপের ব্যাটারীর ক্ষমতা পুরো কমে গেলে কিংবা ত্রুটি দেখা দিলে এমন হয়, ব্যাটারী পরিবর্তন করতে হবে।
২. চার্জিং পোর্ট এবং এডাপ্টার ঠিক আছে কিনা দেখুন।
৩. ল্যাপটপের ইন্ডিকেটর লাইট অন না হলে কোনো টেকনিশিয়ানকে দেখান।
ল্যাপটপ ব্যাকআপ কম দিচ্ছে
হার্ডওয়্যার
১. ল্যাপটপের ব্যাটারীর আয়ুষ্কাল কমে গেছে
১. ল্যাপটপ ব্যবহারের কিছু নিয়মকানুন আছে সেগুলো মেনে চলুন।
সফটওয়্যার
১. ভুল পাওয়ার সেটিংস
১. উইন্ডোজের পাওয়ার সেটিং ঠিক করে ব্যাকআপ বাড়ানো সম্ভব।
ল্যাপটপ অতিরিক্ত গরম হয়ে যাচ্ছে
হার্ডওয়্যার
১. অপর্যাপ্ত কুলিং
২. অতিরিক্ত কাজের চাপ
১. ল্যাপটপের কুলিং ফ্যানের একদম সামনে কোনো কিছু রাখবেন না।
২. ল্যাপটপের প্রসেসর যেখানে থাকে সেই স্থান বেশি গরম হয়।
খেয়াল রাখবেন সবসময় যেন সেখানে বাতাস চলাচলের ব্যবস্থা থাকে।
৩. ল্যাপটপে টানা বেশিক্ষণ মুভি দেখবেন না বা সারাক্ষণ কাজ করবেন না।
ল্যাপটপ পাওয়ার পাচ্ছে না
হার্ডওয়্যার
১. এডাপ্টারের সমস্যা
১. পাওয়ার সাপ্লাই-এর সকেট এবং ল্যাপটপের এডাপ্টার চেক করুন।
ল্যাপটপের ডিসপ্লে আসছে না
সফটওয়্যার
১. উইন্ডোজের সমস্যা
১. যদি বায়োসের স্ক্রীন আসার পর ডিসপ্লে কালো হয়ে যায় তাহলে বুঝতে হবে উইন্ডোজের সমস্যা। উইন্ডোজ রিপেয়ার করুন বা নতুন করে সেটআপ করুন।
ডিজিটাল ক্যামেরা/ মোবাইল ফোন
ক্যামেরায় তোলা ছবি পরিস্কার না
১. আলোর সমস্যা
২. ছবি তোলার জ্ঞানের অভাব
১. যার বা যেটির ছবি তুলছেন সেখানে পর্যাপ্ত আলো থাকতে হবে। আর আলোর উৎস থাকবে ক্যামেরার পেছনে।
২. পরিবেশের উপর ভিত্তি করে ক্যামেরার লাইট সেটিংস পরিবর্তন করুন।
৩. ছবি তোলার সময় হাত যেন না নড়ে সেদিকে খেয়াল রাখুন।
৪. ছবি তোলার আগে লেন্সে ঠিকমত ফোকাস করে নিন ।
ক্যামেরা/মোবাইলে তোলা ছবি কম্পিউটারে নেয়া যাচ্ছে না
হার্ডওয়্যার
১. সংযোগ ক্যাবল থাকতে হবে
২. ব্লুটুথ
১. ইউএসবি ক্যাবলের সাহায্যে মোবাইল/ডিজিটাল ক্যামেরায় তোলা ছবি পিসিতে নেয়া যায়।
২. মেমোরি কার্ড রীডারের সাহায্যে ডাটা পিসিতে নেয়া যায়।
৩. ল্যাপটপের ব্লুটুথের সাহায্যে মোবাইল থেকে ডাটা পিসিতে নেয়া যায়।
ভাইরাস প্রসংগ
কম্পিউটারে ভাইরাস থাকলে তা কিভাবে বুঝবো এবং সমাধান করব
সফটওয়্যার
১. কম্পিউটার স্লো হয়ে যাবে
২. কাজ করার সময় হঠাৎ সেটি আটকে যাবে/হ্যাং করবে
৩. কম্পিউটার চালু হতে বেশি সময় লাগবে
৪. যখন-তখন কম্পিউটার রিস্টার্ট নিতে পারে
৫. কন্ট্রোল প্যানেল/ফোল্ডার হাইড হয়ে যেতে পারে ।
৬. ড্রাইভ বা ফোল্ডার লক হয়ে যেতে পারে।
১. ইন্টারনেট ব্যবহারে সতর্ক থাকা।
২. যেকোনো পেনড্রাইভ বা মোবাইল ফোন পিসিতে সংযুক্ত করার ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন।
৩. এন্টিভাইরাস ব্যবহার করা।
৪. পেন ড্রাইভ পিসিতে ঢুকানো আগে স্ক্যান করে নেয়া ।
৫. আক্রান্ত ড্রাইভ ফরম্যাট করা।
৬. রেজিস্ট্রি টুলস ব্যবহার করে বিভিন্ন অপশন ফেরত আনা যায়।
৭. অপারেটিং সিস্টেম নতুন করে
ইন্সটল করা।
এন্টি ভাইরাস আপডেট এবং ডাউনলোড জনিত সমস্যা
সফটওয়্যার
১. লাইসেন্স সময় অতিক্রম করে যেতে পারে
২.কম্পিউটার এর সময় এবং সফটওয়্যার এর সময় মিসম্যাচ হতে পারে
৩.ইন্টারনেট কানেক্টিভিটি দূর্বল হলে
১.আপডেট এবং ডাউনলোড এর সময় firewall বন্ধ রাখা যেতে পারে।
২.নির্মাতার ওয়েবসাইট থেকে সাহায্য নেয়া যেতে পারে।
এন্টি ভাইরাস আনইন্সটল হয় না
সফটওয়্যার
১. রেজিস্ট্রির সমস্যা
১. সিক্লিনার এর মতো ইউটিলিটি টুল দিয়ে আনইন্সটল করতে হবে।
Goodwill, Sam. 2021. “Article Name Here.” Publication Name, January 1, 2023. Article Link.
Goodwill, Sam. 2021. “Article Name Here.” Publication Name, January 1, 2023. Article Link.
Goodwill, Sam. 2021. “Article Name Here.” Publication Name, January 1, 2023. Article Link.
Goodwill, Sam. 2021. “Article Name Here.” Publication Name, January 1, 2023. Article Link.
Goodwill, Sam. 2021. “Article Name Here.” Publication Name, January 1, 2023. Article Link.